নড়াইল প্রতিনিধি: জেলায় সরিষার আবাদ বাড়ছে। মাঠের যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই হলুদের সমারোহ। সরিষা ফুলের যাদুতে মুগ্ধ হয়ে মধু আহরনে মৌমাছির গুনগুন শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে চারিদিক।
একই জমিতে ৩টি ফসল ফলানো সম্ভব বলে কৃষকেরা ঝুঁকে পড়েছেন সরিষা আবাদে।
জানা গেছে, নড়াইলের বিভিন্ন এলাকার মাঠ এখন সরিষার হলুদ ফুলে ফুলে ভরে গেছে। সরিষা ফুলের মন মাতানো গন্ধ আর মৌমাছির গুনগুন শব্দে মুখরিত সরিষার ক্ষেত। স্থানীয় জাতের সরিষাসহ সেচের মাধ্যমে বারি-৯, ১১, ১৪, ১৫ এবং সম্পদ জাতের উচ্চ ফলনশীল সরিষা বোপণ করে আশানুরূপ ফলন হয়েছে বলে জানান কৃষকরা।
কম খরচে অধিক ফলন হওয়া এবং পোকার আক্রমণ কম হওয়ায় কৃষকেরা সরিষা আবাদে ঝুঁকছেন। এ ছাড়া সরকার সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে কৃষকদের ঋণ প্রদানসহ সময়মত সার ও বীজ সরবারাহ করায় সরিষা আবাদে কৃষকদের আগ্রহ আরো বেড়েছে বলে জানান কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার ৬ হাজার ৭’শ ৭০ হেক্টার জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। সরকারি সহযোগিতা, ভালো দাম পাওয়ার আশা এবং কৃষি বিভাগ থেকে ভালো জাতের বীজ সরবরাহসহ নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। ফলে, উৎপাদনও লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সদর উপজেলার ফেদি গ্রামের তরিকুল ইসলাম বলেন, এক একর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে জমিতে ইতোমধ্যে ফুল এসেছে আশা করছি ভালো ফলন হবে।
দুর্গাপুর গ্রামের মাহাবুবুর রহমান বলেন, সরিষা চাষে খরচ কম হয় এবং তেমন একটা পোকার আক্রমণ থাকে না তাই দিন দিন সরিষার আবাদ বাড়ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক চিন্ময় রায় বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ৬ হাজার ৭’শ ৭০ হেক্টার জমিতে আবাদের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সার, বীজসহ বিভিন্ন উপকরণের যে সহযোগিতা সরকার করেছে, এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে আগামীতেও এ এলাকার চাষিরা ব্যাপকভাবে সরিষার চাষ করবে এবং তা নড়াইলের ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে বলেও জানন এ কৃষি কর্মকর্তা।